• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯

রাজনীতি

নদী সম্পদ সুরক্ষায় জনগণকে সচেতন হতে হবে-স্পীকার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩১ আগস্ট ২০২৩

পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, নদী এদেশের জাতীয় সম্পদ। তাই নদীতে ময়লা, প্লাস্টিক ও পরিত্যক্ত বর্জ্য না ফেলে নদী দূষণ রোধ করতে হবে। তিনি বলেন, নদী সম্পদ সুরক্ষায় জনগণকে সচেতন হতে হবে।

তিনি আজ নিজ নির্বাচনী এলাকা ২৪ রংপুর-৬ এর অন্তর্গত পীরগঞ্জ উপজেলার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত "ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পূর্ব একবারপুর নলেয়া নদী পুনঃখনন কার্যক্রম পরিদর্শন ও মৎস্য অবমুক্তকরণ কালে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 স্পীকার বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, ফসলি জমি ও বসতবাড়ি রক্ষার্থে প্রায় ১২ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পরিচালিত সরকারের একবারপুর নলেয়া নদী পুনঃখনন কার্যক্রম কার্যক্রম কৃষি ও মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।”

তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যে খোকা জন্মেছিলেন তিনি হচ্ছেন এই বাংলার স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রত্যেককে সচেষ্ট হতে হবে। স্পীকার বলেন, জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা ও সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রচেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

 তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন। কৃষক, শ্রমিক, অটোচালক, সবজি বিক্রেতা, ফল বিক্রেতা, কুটির শিল্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টা শেখ হাসিনার সরকার করে চলেছেন।

পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীমের সঞ্চালনায় রংপুর জেলার জেলাপ্রশাসক মো: মোবাশ্বের হাসানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শাহিদুল ইসলাম পিন্টু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী বক্তব্য প্রদান করেন।

শিরিন শারমিন চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ইউনিয়নের সর্বত্র গিয়েছেন এবং ইউনিয়নভিত্তিক উন্নয়ন তদারকি করেছেন উল্লেখ করে বলেন, বিগত পাঁচ বছরে টিআর ৮৮টি প্রকল্পে ৫৪,৮৭,৭৮৩ টাকা, কাবিখার ১৭টি প্রকল্পে ১১৪.৯৮ মে.টন চাল,  গ্রামীন রাস্তা সম্প্রসারণ প্রকল্পে নয় কোটি একষট্টি হাজার টাকা, কাবিটার ১২টি প্রকল্প এবং অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পসহ মোট ২১২টি প্রকল্পে পাঁচ কোটি তিরাশি লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads